Recents in Beach

Best Motivations status

তোমরা যারা রাস্তাঘাটে "আমারে চিনোস" টাইপের হ্যাডম দেখায়ে বেড়াও... তাদের জন্যে এই স্ট্যাটাস ---
.
.
দিলীপ কুমার তখন তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পজিশনে এবং সুপারস্টার। তখনকার একটি ঘটনা তিনি নিজে বর্ননা করেন। “একবার আমি বিমানে ভ্রমন করছিলাম। আমার পাশের সিটের প্যাসেঞ্জার ছিলেন একটু বয়স্ক। তিনি খুব সাধারন শার্ট ও প্যান্ট পড়ে ছিলেন। তিনি দেখতে সাধারন মধ্যবিত্ত হলেও বেশ শিক্ষিতই মনে হল। বিমানের অন্যসব যাত্রীরা আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছিল কিন্তু ওই লোকটাকে মনে হল আমার ব্যপারে একদমই উদাসীন যেন আমাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তিনি খবরের কাগজ পড়ছিলেন, জানালা দিয়ে বাইরে দেখছিলেন। যখন চা দেয়া হল তিনি ধীরে সুস্থে চা খেলেন। তার সাথে কথা শুরু করতে আমি তার দিকে তাকিয়ে আমি মৃদু হাসলাম। তিনিও ভদ্রতা দেখিয়ে মৃদু হেসে আমাকে হ্যালো বললেন। আমরা এরপর কিছুক্ষন কথা বললাম এবং আমি একপর্যায়ে সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে আনলাম। আমি তাকে বললাম, “আপনি কি সিনেমা টিনেমা দেখেন?” লোকটি উত্তর দিল, “ও হ্যা দেখি, তবে খুব কম। অনেক দিন আগে একটি দেখেছিলাম।” আমি তাকে বললাম, “আমি ফিল্মে কাজ করি।” লোকটা উত্তর দিল, “ওহ দারুন!” ব্যাস আর কোনো কথা এগোলো না। যখন প্লেন ল্যান্ড করল, আমি তার দিকে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়ালাম আর বললাম, “আপনার সাথে ট্রাভেল করে ভাল লাগল। বাই দ্যা ওয়ে, আমার নাম দিলীপ কুমার।” লোকটি আমার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন, মৃদু হেসে বললেন, “থ্যাঙ্কস, আমি জেআরডি টাটা Chairman of Tata group
আমি জীবনের তরে একটি শিক্ষা পেলাম, ”আমি কত বিরাট মানুষ, সেটা কোনো ব্যাপারই না, আমার চেয়েও বড় হাস্তি কেউ না কেউ আছে। বিনয়ী হতে পয়সা লাগে না।”

Post a Comment

0 Comments