দ্রুত এ ভোগান্তি দূর করা হোক
সরকার দেশের সব এলাকাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার ব্যাপারে সচেষ্ট হলেও স্থানীয় পর্যায়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। এর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিপজ্জনক বিদ্যুৎ–সংযোগ আমাদের নজরে এসেছিল। অন্যদিকে, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে বাড়তি টাকা দিয়েও বিদ্যুৎ–সংযোগ পাচ্ছে না কয়েকটি পরিবার। বাড়তি টাকা দিয়েও দেড় বছর ধরে ঘুরে অনেক চেষ্টা করেও কোনো সমাধান পায়নি দরিদ্র পরিবারগুলো। কোনো প্রভাব বা ক্ষমতা প্রদর্শন না করলে দেশে ঠিকঠাক কোনো সেবা পাওয়া যায় না, সেটিই কি প্রতীয়মান হয় না? বিষয়টি দুঃখজনক।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানায়, উচাখিলা ইউনিয়নের হাটভোলসোমা গ্রামের লোকজন বিদ্যুৎ–সংযোগের জন্য ২০১৯ সালে আবেদন করেন। সরকার নির্ধারিত আবেদন ফিও জমা দেন তাঁরা। পরের বছর ২৩ জুলাই বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন স্থাপনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা আবেদনকারী ১৬টি পরিবারকে বিদ্যুৎ-সংযোগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন। এরপর এক ঠিকাদার গ্রামে খুঁটি পোঁতার কাজ শুরু করেন।
তিন থেকে চার মাসের মধ্যে গ্রামের আটটি পরিবার বিদ্যুৎ-সংযোগ পেয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি প্রকল্পের কাজে বাধা দেন। এতে বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুলিশ পাহারায় আবার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন ঠিকাদার। এ জন্য তিনি সংযোগ না পাওয়া আট পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেন। পুলিশকে ঘুষ দিতে হবে বলে এ টাকা নেওয়া হয়। এরপরও আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ-সুবিধা পায়নি পরিবারগুলো। তাদের অন্ধকারে রেখেই গোটা কাজ শেষ হয়েছে বলে গত বছর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদার।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঈশ্বরগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সোহেল রানা বলেন, বিদ্যুৎ-সংযোগ না পাওয়ার বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ অভিযোগ জানাননি। তিনি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে বিষয়টির তদন্ত করবেন। কেউ বাধা দিয়ে থাকলে গ্রামের লোকজনকে বুঝিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে। আশা করি তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। সেই সঙ্গে বাড়তি টাকা নেওয়ায় সেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সম্পাদকীয় কলাম, সাক্ষাৎকার, স্মরণ, প্রতিক্রিয়া, চিঠি সম্পর্কিত সকল সংবাদ শিরোনাম
0 Comments